MERCHANDISER & MERCHANDISING
মার্চেন্ডাইজার/ মার্চেন্ডাইজিং
গার্মেন্টস শিল্প আধুনিকায়ন হচ্ছে প্রতি নিয়োত, এই শিল্পে এখন দক্ষ লোক জন এবং কর্মীদের সাথে এখন প্রচুর
পরিমানে শিক্ষিত উচ্চ শিক্ষিতরাও যোগ হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানে মার্চেন্ডাইজিং কে পেশে হিসাতে
নিতে অনেকে এই বিষয়ের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করছেন বিভিন্ন ইউনিভারসিটিতে।পোশাকশিল্পে
উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণযেমন গুরুত্বপূর্ণ, ব্যবসায়িক স্বার্থে এর উপস্থাপনাটাও বেশ দরকারি। সেই সঙ্গে আছে
পারিপার্শিক আরও কিছু বিষয়। পোশাকের আমদানিকারকেরা এখন শুধু পণ্যই দেখে না, পণ্যের পাশাপাশিঅন্যান্য দিকে মানগত বিষয়ে ওদের কিছু চাহিদা
থাকে।প্রতিটিপোশাক কারখানাতেই অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার দরকার রয়েছে। এ কারণেই
মার্চেন্ডাইজিং চাহিদাসম্পন্ন একটি পেশা।
মার্চেন্ডাইজার ও মার্চেন্ডাইজিং কী?
একজন মার্চেন্ডাইজার তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। সোজা কথায় পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে বিপণন, বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াগুলো যিনি নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে তত্ত্বাবধান করে থাকেন তিনিই মার্চেন্ডাইজার। আর এ প্রক্রিয়া বা পেশাকেই বলা হয় মার্চেন্ডাইজিং।
মার্চেন্ডাইজারের যেসব গুণাবলী থাকা দরকার : গার্মেন্টস সেক্টরে একজন
মার্চেন্ডাইজারের ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের লাভ লোকসান। ছোট একটি ভুলের জন্য
কোম্পানির অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই একজন মার্চেন্ডাইজারকে চৌকস হতে হবে।
ক্রেতার চাহিদাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতে হবে। ক্রেতা যে মানের পোশাক চাইবে, অবশ্যই সেই মান বজায় রাখতে হবে। এ সেক্টরে একজন ক্রেতা হারানো মানে লাখ লাখ
টাকার ক্ষতি- সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। মার্চেন্ডাইজারকে অবশ্যই ইংরেজিতে
ভালো-দক্ষ হতে হবে। এছাড়া কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি এমএসওয়ার্ড, এমএস এক্সেল সম্পর্কে জানা আবশ্যক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বর্তমানে পোশাক শিল্পে কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ
শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা এ পেশার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ফলে চাকরিদাতারাও দক্ষ
প্রার্থীকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ পেশায় আসতে হলে প্রার্থীকে অন্তত ¯œাতক পাস হতে হবে। উৎপাদিত পণ্য এবং ফেব্রিক্স সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে
হবে। বিশ্বে যে সব ভাষা বেশি প্রচলিত যেমন ইংলিশ, চায়নিজ, স্পেনিশ, কোরিয়ান ইত্যাদি ভাষা জানা থাকলে ভালো হয়।
পড়াশোনা : বিআইএফটি ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স করায়। কোর্সগুলো হচ্ছে
অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাশন ডিজাইনার অ্যান্ড টেকনোলজি
এবং নিট ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি। এ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করলে খুব
সহজেই ম্যার্চেন্ডাইজিং পেশায় যাওয়া যায়। এছাড়া যারা অন্যান্য বিষয়ে ¯œাতক পাস করে এই পেশায় আসতে চান তাদের জন্য রয়েছে বিআইএফটি আওতায় বিভিন্ন
মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। এ কোর্সগুলো করেও মার্চেন্ডাইজিং পেশা শুরু করতে পারেন।
বিজিএমইএ, ইনস্টিটিউট
অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএফটি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন (বিআইডি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন ডিজাইন (এনআইএফডি) ইত্যাদি। এসব
প্রতিষ্ঠানে চার বছরের স্মাতক (সম্মান) ডিগ্রি, এক বছরের ডিপ্লোমা এবং ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ
রয়েছে। চার বছরের স্মাতক (সম্মান) ডিগ্রির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ভর্তি হতে
হবে। বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় প্রশাসনসহ সব বিভাগের ছাত্ররাই এ বিষয়ে পড়তে পারবেন। আর এ
জন্য আপনার খরচ হবে ৩০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা ।
আয় : বর্তমান সময়ে যেমনিভাবে মার্চেন্ডাইজারের চাহিদা রয়েছে, তেমনিভাবে এ পেশায় ভালো আয় করার সুযোগ রয়েছে। এ পেশার সুযোগ-সুবিধা এবং আয়
সম্পর্কে জানতে চাইলে এমবিএম গার্মেন্টসের মার্চেন্ডাইজার মো. হানিফ রাসেল বলেন, চাকরির প্রাথমিক অবস্থায় ১০-১৫ হাজার টাকা সম্মানি পাওয়া যায়। তবে অভিজ্ঞতা
অর্জন করতে পারলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.